১৯৪৭-এর দাঙ্গার সময় একদিন অনুশীলন শেষে শোভাবাজার ঘাট থেকে ফিরছিলেন বাড়িতে। রাস্তায় তখন চলছে গুলির লড়াই। গুলি এসে লাগে শচীনের ডান পায়ের হাঁটুর ওপরের দিকে। হাড় ৩২ টুকরো হয়ে যায়। বালিগঞ্জের লেক মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন টানা তিন মাস।
শচীন নাগের সাঁতার শুরু
পুলিশের তাড়া খেয়ে
বেনারসের গঙ্গায় ঝাঁপিয়ে
নির্মলকুমার সাহা
তখন স্বদেশি আন্দোলন চলছে। ১৯৩০ সালের কোনও একদিন বেনারসের গঙ্গার ধারে ১০ বছরের একটা ছেলে ঘোরাঘুরি করছিল। তখনই গঙ্গার পাশের রাস্তায় গণ্ডগোল শুরু হয়। পুলিশ তাড়া করে। ছেলেটি কোনও উপায় না দেখে ঝাঁপিয়ে পড়ে জলে। ঘাটে থাকা একঝাঁক নৌকোর ফাঁকে লুকিয়ে থাকে। তখন ঘাটে ও সামনের রাস্তায় চলছে পুলিশের ধরপাকড়। এবার ছেলেটা অন্য পথ নেয়। ডুব সাঁতার কেটে চলে যায় ওপারে। গঙ্গায় তখন সবে শুরু হয়েছে ১০ কিলোমিটারের এক সাঁতার প্রতিযোগিতা। সে মিশে যায় প্রতিযোগীদের দলে। সাঁতার কাটতে কাটতে পৌঁছেও যায় প্রতিযোগিতার শেষ রেখায়। একটা প্রাইজও পেয়ে যায়। দু’জনের পরে পৌঁছে তৃতীয় পুরস্কার। এই পুরস্কারটাই সাঁতারের প্রতি আকর্ষণ বাড়িয়ে দেয় ছেলেটার।
২১ বছর পরের ঘটনা। সেদিনের সেই বাচ্চা ছেলেটা তখন ৩১ বছরের যুবক। ১৯৫১ সালের ৭ মার্চ, দিল্লির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামের সুইমিং পুলে গড়ে ফেলেন ইতিহাস। সব খেলা মিলিয়ে প্রথম ভারতীয় হিসেবে গলায় পরেন এশিয়ান গেমসের সোনার পদক। ১০০ মিটার ফ্রি স্টাইল সাঁতারে (সময় ১:০৪.৭)। তিনি শচীন নাগ। সেদিন তাঁর সোনা জেতার সময় দর্শক আসনে ছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। জল থেকে উঠেই প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন পেয়ে আপ্লুত হয়েছিলেন এই বাঙালি সাঁতারু। সোনার অভিযানের শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না শচীনের। হিটে নিজের গ্রুপে পেয়েছিলেন তৃতীয় স্থান। কিন্তু তাতে ভেঙে পড়েননি। ফাইনালে দুর্দান্ত লড়াই করে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছিলেন। তারপর কেটে গিয়েছে আরও ৬৯ বছর। দ্বিতীয় কোনও ভারতীয় সাঁতারুর গলায় আর ওঠেনি এশিয়ান গেমসের সোনার পদক। সেদিনের সেই ইতিহাস গড়া নায়কের এতদিনেও জোটেনি কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও পুরস্কার, সম্মান। বেঁচে থাকতেও পাননি। মরণোত্তর কোনও সম্মানও নয়। বারবার আবেদন জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এবারও মরণোত্তর ধ্যানচাঁদ পুরস্কারের জন্য শচীন নাগের নাম প্রস্তাব করেছেন প্যারা সুইমার প্রশান্ত কর্মকার। দেখা যাক কী হয়! যে শহরে তিনি ইতিহাস গড়েছিলেন, সেই দিল্লিতেই ১৯৮২ সালে আবার বসেছিল এশিয়ান গেমসের আসর। সিরি ফোর্টে গেমস ভিলেজে একটা ব্লক তাঁর নামে করা হয়েছিল। ব্যস, স্বীকৃতি বলতে ওই পর্যন্তই। কেন্দ্রের বঞ্চনা থাকলেও রাজ্যে কিন্তু কিছুটা স্বীকৃতি মিলেছে তাঁর। বামফ্রন্টের আমলে পেয়েছিলেন স্পোর্টস ডে অ্যাওয়ার্ড। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর মদন মিত্র ক্রীড়ামন্ত্রী থাকার সময় ২০১২ সালে দেওয়া হয়েছিল মরণোত্তর সম্মান।
১৯৫১-র এশিয়ান গেমসে আরও দু’টি পদক জিতেছিলেন শচীন নাগ। দু’টিই ব্রোঞ্জ। ৪x১০০ মিটার ফ্রি স্টাইল রিলেতে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন ওই একই দিনে, সোনা জয়ের পর। ওই রিলে দলে ছিলেন আইজাক মনসুর, বিমল চন্দ্র, শম্ভু সাহা ও শচীন নাগ। আর সোনা জয়ের আগের দিন জিতেছিলেন ৩x১০০ মিটার মেডলি রিলেতে ব্রোঞ্জ। ওই দলে ছিলেন কান্তি শাহ, নাইগামওয়ালা ও শচীন নাগ।
যে এশিয়ান গেমসে সোনা জিতে ইতিহাস গড়েছিলেন, সেই এশিয়ান গেমসের আগেও উপেক্ষা, অবহেলার শিকার হতে হয়েছিল শচীনকে। মার্চ মাসে এশিয়ান গেমস। ভালোভাবে অনুশীলনের জন্য ডিসেম্বরেই তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন দিল্লি। কিন্তু ওখানে পৌঁছেই পড়েন ঘোর সমস্যায়। দিল্লির কোনও পুলে জল নেই। কোথায় সারবেন প্রস্তুতি? কর্মকর্তাদের বলেও কোনও লাভ হয়নি। সামান্য সহযোগিতাও পাননি। উল্টে কর্মকর্তারা ধমক দিয়েছেন, ‘কে তোমাকে আগে আসতে বলেছিল?’ অসহায় শচীন দিল্লিতে ছিলেন বন্ধু রবীন্দ্রনাথ মিত্রর বাড়িতে। দু’জনে এখানে-ওখানে ঘুরে সিসিল হোটেলের ২০ মিটার সুইমিং পুল খুঁজে পান। টাকা দিয়ে সেখানেই শচীন শুরু করেন অনুশীলন। কিন্তু কতদিন টাকা দিয়ে ওখানে অনুশীলন করবেন? চিন্তা বাড়তেই থাকে। ততোদিনে হোটেলের বিদেশি বোর্ডাররা শচীনের নিষ্ঠা, ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন। ওই হোটেলের ম্যানেজার ছিলেন ইতালীয় এক মহিলা। বিদেশি বোর্ডাররা তাঁকে অনুরোধ করেন, অনুশীলনের জন্য শচীনের কাছ থেকে টাকা না নেওয়ার। সেই অনুরোধে সাড়া দিয়েছিলেন হোটেল কর্তৃপক্ষ। তারপর যে কদিন শচীন ওখানে অনুশীলন করেছেন আর টাকা দিতে হয়নি। সোনা জেতার পর ওই হোটেলে গিয়ে ইতালীয় ম্যানেজার ও কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এসেছিলেন শচীন। আগে দিল্লি পৌঁছে যে উপেক্ষার শিকার হয়েছিলেন, সোনা জেতার পরও সেটা মনে রেখেছিলেন। দিল্লি থেকে হাওড়া ফেরার জন্য ট্রেনের থার্ড ক্লাসের ভাড়া বাবদ কর্মকর্তারা ৩০ টাকা বরাদ্দ করেছিলেন। শচীন ওই টাকা নেননি। ফিরেছিলেন নিজের টাকায়।
শচীনের বাবা অনুকূলচন্দ্র নাগ (মা কুসুমকুমারী দেবী) চাকরি করতেন রেলে। চাকরিসূত্রেই থাকতেন বেনারসে। ওখানেই জন্ম শচীনের, ১৯২০ সালের ৫ জুলাই। শৈশবে বাড়ির বড়দের সঙ্গে গঙ্গায় স্নান করতে করতেই সাঁতার শেখা শচীনের। সেটা একেবারেই শখের সাঁতার। পুলিশের তাড়া খেয়ে গঙ্গায় ঝাঁপিয়ে তৃতীয় পুরস্কার পাওয়াটাই ঘুরিয়ে দেয় জীবনের গতি। তারপর নিয়মিত অংশ নেওয়া শুরু হয় বেনারসের নানা সাঁতার প্রতিযোগিতায়। কখনও ১০ কিলোমিটার, কখনও ৬ কিলোমিটার সেই সব সাঁতার প্রতিযোগিতায় তখন নিশ্চিত ছিল শচীনের পুরস্কার।
উত্তর কলকাতার হাটখোলা ক্লাবের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিলেন যামিনী দাস। সাঁতারের জন্যই ওই যামিনী দাসের হাত ধরে শচীনের কলকাতায় চলে আসা ১৯৩৭ সালে। বেনারসে শচীনের সাঁতার দেখে হাটখোলা ক্লাবে নিয়ে এসেছিলেন তিনি। ওই সময় কলকাতায় ১০০ বা ২০০ মিটারের চেয়ে দূর পাল্লার সাঁতারের প্রচলন ছিল বেশি। গঙ্গায় দূরপাল্লার সাঁতারই ছিল জনপ্রিয়। কলকাতায় এসে প্রথম বছরেই গঙ্গায় ১০ কিলোমিটার সাঁতারে দ্বিতীয় হন শচীন নাগ। তারপর দূরপাল্লার সাঁতারে পরপর সাফল্য পেতে থাকেন। তখন মদন সিং, দুর্গা দাস, রাজারাম সাহুদের যুগ। তাঁদের নামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায় শচীন নাগের নামও। ১৯৩৮ সালে কলেজ স্কোয়ারে সারা বাংলা সাঁতার প্রতিযোগিতায় ১০০ ও ৪০০ মিটার ফ্রি স্টাইলে শচীন হারান মদন সিং, রাজারামকে। পুকুর বা পুলের স্বল্প দূরত্বের সাঁতারে শচীনের উত্থান শুরু ওখান থেকেই। আর পেছনে তাকাতে হয়নি। রাজ্য ও জাতীয় প্রতিযোগিতায় পেয়েছেন একের পর এক সাফল্য, পুরস্কার। তখন বাংলার ফ্রি স্টাইল সাঁতারের ঊজ্জ্বল নাম দিলীপ মিত্র। ১৯৩৯ সালে ন্যাশনাল সুইমিং ক্লাবের সারা বাংলা সাঁতার প্রতিযোগিতায় ২০০ মিটার ফ্রি স্টাইলে শচীন চ্যাম্পিয়ন হন মদন সিংকে হারিয়ে। সময় ২:২৮.৩। যা ছিল দুর্গা দাসের তখনকার রাজ্য রেকর্ডের (২:২৯.০) চেয়ে ভালো। ওখানেই ১০০ মিটার ফ্রি স্টাইলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন দিলীপ মিত্রের জাতীয় রেকর্ডের সমান সময় (১:০৪.০০) করে। ১৯৪০ সালে ১০০ মিটার ফ্রি স্টাইলে শচীন ভাঙেন (১:০২.২৫) দিলীপ মিত্রর ওই জাতীয় রেকর্ড (১:০৪.০০)। পরে ওই রেকর্ড আরও উন্নত করে নিয়েছিলেন শচীন নাগ। ১০০ মিটার ফ্রি স্টাইলে তাঁর রাজ্য রেকর্ড ৩১ বছর অক্ষত ছিল।
যখন স্বল্প দূরত্বের ফ্রি স্টাইল সাঁতারে সারা ভারতে নিজেকে অপ্রতিদ্বন্দ্বী করে তুলছেন, তখনই একটি দুর্ঘটনায় শচীনের সাঁতার-জীবনের ভবিষ্যত প্রশ্ন চিহ্নের সামনে দাঁড়িয়ে পড়ে। ১৯৪৭-এর দাঙ্গার সময় একদিন অনুশীলন শেষে শোভাবাজার ঘাট থেকে ফিরছিলেন বাড়িতে। রাস্তায় তখন চলছে গুলির লড়াই। গুলি এসে লাগে শচীনের ডান পায়ের হাঁটুর ওপরের দিকে। হাড় ৩২ টুকরো হয়ে যায়। বালিগঞ্জের লেক মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন টানা তিন মাস। অস্ত্রোপচারের পর ডাক্তার বলেছিলেন, অন্তত দু’বছরের আগে সাঁতারে ফেরার সম্ভাবনা নেই। ডাক্তারের ওই আশঙ্কাকে পুরোপুরি ভুল প্রমাণ করেছিলেন শচীন। ডাক্তারের নির্দেশ অমান্য করেই চলে গিয়েছিলেন বেনারসে। ওখানে গঙ্গায় অনুশীলন করে নিজেকে আবার প্রতিযোগিতায় নামার উপযুক্ত করে তুলেছিলেন। শুধু সাঁতারে ফেরা নয়, ১৯৪৮-এর লন্ডন অলিম্পিকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্যতাও অর্জন করে নিয়েছিলেন। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর সেটাই ছিল প্রথম অলিম্পিক। লন্ডনে তিনি অংশ নিয়েছিলেন ১০০ মিটার ফ্রি স্টাইলে। সাঁতারের পাশাপাশি শচীন খেলতেন ওয়াটারপোলোও। তাতেও তিনি ছিলেন দেশের সেরাদের তালিকায়। তাই লন্ডন অলিম্পিকে ভারতের ওয়াটারপোলো দলেও জায়গা করে নিতে সমস্যা হয়নি। ওয়াটারপোলোয় ভারতে সেবার একটি ম্যাচই জিতেছিল, চিলির বিরুদ্ধে ৭-৪ গোলে। সেই ম্যাচে ভারতের হয়ে ৪ টি গোল করেছিলেন শচীন। পরে আরও একটি অলিম্পিকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। সেটা ১৯৫২ সালে হেলসিঙ্কি অলিম্পিকে। সেবার সাঁতার নয়, তিনি ছিলেন ভারতের ওয়াটারপোলো দলের সদস্য।
শচীন নাগদের যুগে খেলাধুলো এখনকার মতো ছিল না। দেশে, বিদেশে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য অনেক খেলাতেই টাকা দিতে হত খেলোয়াড়দের। একসময় শোভাবাজারে অনুশীলনের পর রাতের অন্ধকারে বড়বাজারে এসে লরি পরিষ্কার করে খেলার খরচ যোগাড় করেছেন। ১৯৪৮ সালে লন্ডন অলিম্পিকের আগে শচীন নাগকে অর্থ সাহায্য করার জন্য ‘উত্তরা’ সিনেমা হলে একটা অনুষ্ঠান হয়েছিল। সেখানে বিনা পারিশ্রমিকে গান গেয়েছিলেন হেমন্ত মুখার্জি।
নিজে যখন সাঁতারু তখন থেকেই পরের প্রজন্মের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া শুরু। হাটখোলা ক্লাবেই এশিয়ার প্রথম মহিলা ইংলিশ চ্যানেলজয়ী আরতি সাহার সাঁতার শুরু। বিজিতেন্দ্র নাথ বসু আরতিকে নিয়ে এসেছিলেন হাটখোলা ক্লাবে। তারপর যামিনী দাস ও শচীন নাগের প্রশিক্ষণেই নিজেকে বড় সাঁতারু হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন আরতি। শচীন নাগের কাছে একদা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন নাফিসা আলি, আরও অনেকেও।
‘কোনি’ সিনেমায় বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির ভূমিকায় অভিনয়ও করেছেন শচীন নাগ। অভিনয় করেছেন আরও একটি সিনেমায়, সৌমিত্র-তনুজা অভিনীত ‘অপর্ণা’য়।
দেখতে দেখতে তাঁর জন্ম শতবর্ষ চলে গেল। সারা বছরে রাজ্য সাঁতার সংস্থা, বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন বা সুইমিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার সামান্য উদ্যোগও দেখা যায়নি কোনও অনুষ্ঠান করার। আজ ২০২০-র ৫ জুলাই, শচীন নাগের ১০০ বছর পূর্ণ। পরিবারের লোকেদের পরিকল্পনা ছিল আজ ১০০ বছর পূর্ণ হওয়ার দিন একটি অনুষ্ঠান করার। কিন্তু এখন করোনা আতঙ্ক, লকডাউনে সারা দেশে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্তব্ধ। শচীন নাগের পুত্র অশোক নাগ জানালেন, তাই ইচ্ছে থাকলেও পরিবারের লোকেরা সবাইকে নিয়ে কোনও অনুষ্ঠান করতে পারছেন না। ঘটনাচক্রে এবার হাটখোলা ক্লাবেরও শতবার্ষিকী। দুই শতবর্ষ মিলে ওই ক্লাবের গর্বের সময়। অন্যরা ভুলে গেলেও হাটখোলা ক্লাবের গর্বের শচীন নাগের কথা ভোলেননি কর্তৃপক্ষ। শতবর্ষে হাটখোলা ক্লাবে বসেছে শচীন নাগের মূর্তি। সঙ্গে ওই ক্লাবের আরেক গর্ব আরতি সাহার মূর্তিও।
No comments:
Post a Comment