Tuesday, May 26, 2020

‘‌আনলাকি’‌ নয়, ১৩ ছিল বলবীরের ‘‌লাকি নম্বর’‌



ভারতের ঘরে অলিম্পিক হকির আরেকটা পদক দেখে যেতে পারলেন না। জীবনের দৌড়েও হেরে গেলেন বলবীর সিং। ‘‌সেঞ্চুরি’‌-‌ও আর হল না।



‘‌আনলাকি’‌ নয়,
১৩ ছিল বলবীরের
‘‌লাকি নম্বর’‌


নির্মলকুমার সাহা


                   
কয়েক বছর ধরেই নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। মাঝেমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। তা আবার কাটিয়ে উঠে ধীরে ধীরে এগোচ্ছিলেন ‘‌সেঞ্চুরি’‌-‌র দিকে। কিন্তু ‘‌সেঞ্চুরি’‌ আর হল না। বয়স ৯৬ বছর পূর্ণ হওয়ার কয়েকমাস আগেই সোমবার সকালে জীবনাবসান হল ভারতীয় হকির এক বর্ণময় চরিত্র বলবীর সিংয়ের।
স্বাধীনতার আগে টানা তিনটি অলিম্পিকে হকির সোনা জিতেছিল ভারত। যাতে প্রধান ভূমিকা ছিল ধ্যানচাঁদের। শেষটায় বার্লিনে তিনি ছিলেন অধিনায়ক। আর স্বাধীনতার পরে টানা তিনটি অলিম্পিকে হকিতে ভারতের সোনা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন বলবীর সিং। যার শেষটায়, ১৯৫৬–য় মেলবোর্নে তিনি ছিলেন ভারতের নেতা।
ছিলেন সেন্টার ফরোয়ার্ড। সারা জীবনে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় করেছেন অজস্র গোল। তিনটি অলিম্পিকেও গোল করায় তিনি সফল। ১৯৪৮–এ লন্ডন অলিম্পিকে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক–সহ করেছিলেন ৬ গোল। ফাইনালে গ্রেট ব্রিটেনের বিরুদ্ধে ৪–০ জেতা ম্যাচে প্রথম গোল দুটো ছিল বলবীরের। ১৯৫২–র হেলসিঙ্কি অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের পতাকা ছিল বলবীরের হাতে। সেবারের অলিম্পিকে ভারতের ১৩ গোলের মধ্যে ৯টি এসেছিল বলবীরের স্টিক থেকে। যার পাঁচটি করেছিলেন ফাইনালে হল্যান্ডের বিরুদ্ধে। যা এখনও একটি অলিম্পিক ফাইনালে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। ১৯৫৬–য় গ্রুপ লিগের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে করেছিলেন ৫ গোল। তারপর আহত হওয়ায় গ্রুপের বাকি ম্যাচে খেলতে পারেননি। পরে খেলেছিলেন সেমিফাইনাল ও ফাইনালে। ১৯৫৮ সালে এশিয়ান গেমসে রুপোজয়ী ভারতীয় দলেরও অধিনায়ক ছিলেন। ১৯৭১–এ বিশ্বকাপে ছিলেন ভারতের কোচ। ভারত ‌তৃতীয়  হয়েছিল। একবারই ভারত বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, ১৯৭৫ সালে। সেই দলের ম্যানেজার ছিলেন বলবীর।
বাবা-‌মা ছোট্টবেলাতেই ছেলের হাতে তুলে দিয়েছিলেন হকি স্টিক, বল। পাড়ার মাঠে বয়সে একটু বড় বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে যাওয়ার পর, সাধারণত যা হয়, নতুন ও ছোট ছেলে বলে বলবীরকে সবাই জোর করেই গোলে দাঁড় করিয়ে দিত। গোলকিপার হিসেবেই বলবীরের হকি খেলা শুরু। কিন্তু বার্লিন অলিম্পিকে ধ্যানচাঁদ-‌রূপ সিংয়ের গোল-‌বন্যার পর, ১২ বছর বয়সেই পাকা সিদ্ধান্ত, আর গোলে নয়, খেলতে হবে ফরোয়ার্ডেই। করতে হবে গোল। সেই থেকে বলবীর সিং সেন্টার ফরোয়ার্ড।
১৯৫৭ সালে পান পদ্মশ্রী। খেলাধুলোয় প্রথম পদ্মশ্রী তিনিই। ১৯৮২ সালে দিল্লি এশিয়ান গেমসে পূতাগ্নি জ্বালানোর সম্মান পেয়েছিলেন। ২০১৫ সালে হকি ইন্ডিয়া দিয়েছিল লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড। ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকের সময় তিনি পেয়েছিলেন এক অনন্য সম্মান। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি অলিম্পিকের ইতিহাসের ১৬ জন কিংবদন্তিকে বিশেষ সম্মান জানিয়েছিল। সেই তালিকায় একমাত্র ভারতীয় ছিলেন বলবীর সিং।
হকিতে খুব সাড়া জাগানো বই, বলবীরের আত্মজীবনী ‘‌দ্য গোল্ডেন হ্যাটট্রিক’‌। যা প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৭৭ সালে। পরে তিনি আরও একটি বই লিখেছেন। ‘‌দ্য গোল্ডেন ইয়ার্ডস্টিক:‌ ইন কোয়েস্ট অফ হকি এক্সেলেন্স’‌ প্রকাশিত হয়েছিল ২০০৮ সালে। বলবীর সিং ও তাঁর দলের ১৯৪৮–এর লন্ডন অলিম্পিকের সোনা জয় নিয়ে হয়েছে সিনেমা ‘‌গোল্ড’‌।
তাঁর কন্যা, পুত্ররা সবাই সপরিবার কানাডায় থাকায় শেষ জীবনের অনেক বছরই বলবীরও কাটিয়েছেন ভ্যাঙ্কুয়ারে। পরে আবার ফিরে এসেছেন নিজের দেশে।
বেশ কয়েক বছর আগে কলকাতার ভবানীপুরে খালসা স্কুলের মাঠে দেখা হয়েছিল। বলবীর মজা করে বলেছিলেন, ‘‌আমার নামের মানে জানেন?‌ বলবীরকে দু’‌ভাগে ভেঙে ফেলুন। বল মানে শক্তি। আর বীর মানে সাহসী, দৃঢ়চেতা। আমি ওই দুটোর যোগফল।’‌
সত্যি, তিনি ছিলেন তাই। স্বাধীনতাত্তোর ভারতের হকিতে লেসলি ক্লডিয়াস, কে ডি সিং বাবু, কেশব দত্, কিষেণলাল, আর এস জেন্টলদের মাঝেও তাঁকে আলাদাকরে চিনতে অসুবিধা হত না। স্বাধীনতার আগে ধ্যানচাঁদ, আর স্বাধীনতার পরে বলবীর সিং শাসন করেছেন ভারতীয় হকি।
তিনটি অলিম্পিক সোনার মধ্যে প্রথমটাই ছিল বলবীরের কাছে বেশি স্মরণীয়। কেন?‌ তিনি এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বারবার। বলেছেন, ‘‌দেশ ভাগ ও ভারত স্বাধীন হওয়ার পর লন্ডনের সেই অলিম্পিকই ছিল প্রথম। স্বাধীন দেশ হিসেবে খেলতে গিয়েছিলাম আমরা। জানতাম সোনা জিতলে সেই প্রথম অলিম্পিকের বিজয় মঞ্চে উড়বে ভারতের তেরঙা। যা আমাদের সবাইকে আলাদাভাবে উদ্বুদ্ধ করেছিল। আর সেবার ফাইনালে আমাদের সামনে ছিল গ্রেট ব্রিটেন। যাদের হাত থেকে আমরা ছিনিয়ে নিয়েছিলাম স্বাধীনতা। ফাইনালে ওদের হারানোর জন্য আমাদের আলাদা তাগিদ ছিল। সেই ফাইনালটা জিততে পেরে তাই একটু বেশিই আনন্দ পেয়েছিলাম। ওই স্মৃতি কোনওদিন ভোলার নয়। ভুলতেও পারিনি।’‌
পুরনো দিনের গল্প করতে খুব ভালবাসতেন। রাজনৈতিক কারণে এখন ভারত–পাকিস্তান ক্রীড়া সম্পর্কও বেশ খারাপ জায়গায়। খেলা থেকে অবসরের অনেক পরে ১৯৭৫ সালে বিশ্বকাপে তিনি ছিলেন ভারতের ম্যানেজার। কুয়ালালামপুরে ফাইনালে ভারতের সামনে ছিল পাকিস্তান। খেলা ছিল ১৫ মার্চ, শনিবার। ভারতীয় দলে নানা ধর্মের খেলোয়াড়। সবাইকেই তিনি বলতেন, ‘‌তোমরা আলাদা আলাদা ধর্মে বিশ্বাসী হতেই পারো। কিন্তু মনে রেখো, এখানে খেলতে এসেছো, ভারতের হয়ে। তোমরা সবাই মাদার ইন্ডিয়ার সন্তান। ভারতের তেরঙা উঁচুতে তুলে ধরার জন্যই তোমাদের লড়তে হবে।’‌ একবার বলবীর ওই বিশ্বকাপের একটা গল্প শুনিয়েছিলেন এভাবে, ‘‌ফাইনালের আগের দিন ছিল শুক্রবার। আসলাম শের খান বলল, নমাজে যাবে। আমি, গুরচরণ ও ডাক্তার কারলা ওকে নিয়ে গেলাম ওখানকার রয়্যাল মসজিদে। শুক্রবারের সেই প্রার্থনায় আসলামের পেছনে ছিলাম আমরা তিনজন। প্রার্থনা শেষ হতেই একজন কিছু জানতে এগিয়ে এলেন আমার দিকে, আমার পাগড়ি দেখে। জিজ্ঞেস করলেন, আমি কেন ওখানে?‌ আমি বললাম গুরুদওয়ারা, গীর্জা, মন্দির, মসজিদ আমরা যেখানেই যাই, ভগবান একজনই। একথা শুনে ভদ্রলোক হেসে ফেললেন। বললেন, তোমাদের প্রার্থনা সফল হোক। কথা বলতে বলতেই মাথা উঁচু করে দেখি, ওঁর পেছনে পুরো পাকিস্তান দল। ওরাও এসেছিল ফাইনালের আগে প্রার্থনায়। আমরা কিন্তু ফাইনালে জিতেছিলাম।’‌
সেই চ্যাম্পিয়ন দলে ছিলেন অশোক কুমার। ফাইনালে জয়ের গোলটিও এসেছিল তাঁর স্টিক থেকেই। অনেক বছর আগে একটি গল্প শুনিয়েছিলেন অশোক কুমার, ‘‌ফাইনালে মাঠে নামার আগে ম্যানেজার বলবীর সিং খেলোয়াড়দের পকেটে একটি করে ছোট্ট কাপড়ের টুকরো ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। ওটা পকেটে থাকলে নাকি ভাগ্য আমাদের সঙ্গে থাকবে। যাই হোক আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। তাতে ওই কাপড়ের টুকরোর কোনও ভূমিকা ছিল কিনা, তা বলতে পারব না।’‌
আক্ষরিক অর্থেই বলবীর ছিলেন ধর্মনিরপেক্ষ। সব ধর্মের মানুষের সঙ্গেই তাঁর ছিল গভীর বন্ধুত্ব। ২০০৬ সালে একটি সংস্থা ‘‌বেস্ট শিখ হকি প্লেয়ার’‌ পুরস্কারের জন্য তাঁর নাম ঘোষণা করেছিল। বলবীর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন করে এভাবে কোনও পুরস্কার দেওয়া যায় না। এটা ঠিক নয়। পরে ভারতীয় হকির প্রসারের জন্য তিনি ওই পুরস্কার নিতে রাজি হয়েছিলেন। তবে উদ্যোক্তাদের বাধ্য করেছিলেন, পুরস্কারের নামে কিছু রদবদল ঘটাতে। তিনি বারবার বলেছেন, এই ধর্মনিরপেক্ষতার শিক্ষা তিনি পেয়েছিলেন তাঁর বাবা স্বাধীনতা সংগ্রামী দলীপ সিংয়ের কাছ থেকে।
এখন বন্ধ থাকলেও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে হকি টেস্ট সিরিজ প্রথম শুরু হয়েছিল ১৯৭৮ সালে। কিন্তু দু’‌দেশের মধ্যে নিয়মিত হকি সিরিজ চালুর প্রয়োজনীয়তা তার অনেক আগেই বলবীর উপলব্ধি করেছিলেন। প্রস্তাবও দিয়েছিলেন হকি ফেডারেশন ও সরকারের কাছে। তাতে কোনও লাভ হয়নি। তিনি তখন পাঞ্জাব পুলিশে উচ্চপদে চাকরি করেন। খেলোয়াড়জীবনে একেবারে মধ্যগগনে। জাতীয় দলের সফর বিনিময়ের ব্যবস্থা করতে পারেননি। কিন্তু ১৯৫৩ সালে দুই দেশের দুই পাঞ্জাবের পুলিশ দলের মধ্যে খেলার আয়োজন করতে পেরেছিলেন। প্রথমে পশ্চিম পাঞ্জাবের পুলিশ দল এসেছিল এপারে। পরে এপারের পাঞ্জাব পুলিশ দল গিয়েছিল ওপারে। যে দলের অধিনায়ক ছিলেন বলবীর। এতটাই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ ছিল যে সেই সফরে খেলোয়াড়দের স্ত্রীরাও সঙ্গী হয়েছিলেন।
প্রচলিত আছে ‘‌আনলাকি থার্টিন’‌। বলবীর বলতেন, ‘‌আমার কাছে থার্টিন লাকি।’‌ আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া হকিতে তিনি অধিকাংশ সময়ই খেলেছেন ১৩ নম্বর জার্সি গায়ে। আত্মজীবনী ‘‌দ্য গোল্ডেন হ্যাটট্রিক’‌-‌এ তো '13: My Lucky Number' ‌‌শিরোনামে সাড়ে এগারো পাতার একটি অধ্যায়ই লিখে ফেলেছেন। ওই অধ্যায়টির একেবারে শেষ পর্বে তিনি লিখেছেন, তাঁর বাড়ির নম্বর ১৫৩৪, অফিসের নম্বর ৫৬২, ব্যক্তিগত গাড়ির নম্বর ৩১৬৩, অফিসের গাড়ির নম্বর ২৯০২। পাশাপাশি যোগ করলে প্রতিটির ফলই ১৩। একবার অফিসের সিনিয়রিটি নিয়ে মামলা হয়েছিল। বলবীর লিখেছেন, সেই মামলাটাও চলেছিল ১৩ নম্বর কোর্টে। শেষ করেছেন এভাবে, ‘‌কে বলেছেন, ১৩ আনলাকি নম্বর!‌’‌
বলবীরের সঙ্গে ফোনে শেষ কথা বলেছিলাম, প্রায় ৪ বছর আগে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই। সামনে তখন রিও অলিম্পিক। ভারতের, বিশেষ করে হকি দলের অলিম্পিকে সম্ভাবনা নিয়ে কথা হয়েছিল। আশার কথা কিছু শোনাতে পারেননি। বরং কথাবার্তায় স্পষ্ট ছিল হতাশা। বলেছিলেন, ‘‌স্বাধীনতার ৬৯ বছর পরও ভারতে ক্রীড়া সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি। আমরা চ্যাম্পিয়ন গড়তে জানি না। কেউ নিজের চেষ্টায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে এলে তাকে নিয়ে লাফালাফি করতে জানি। এটা কোনও ক্রীড়া সংস্কৃতি নয়। অলিম্পিকে দু-‌চারটে রুপো-‌ব্রোঞ্জ জিতেই লাফালাফি শুরু করে দিই। এত বড় দেশের পক্ষে এটা কোনও সাফল্যই নয়। এদেশে সত্যিকারের ক্রীড়া সংস্কৃতি থাকলে অলিম্পিকে আমাদের ফল অনেক ভাল হত।’‌
নিজের খেলা হকি নিয়ে বলেছিলেন, ‘‌অলিম্পিকে আটবারের সোনাজয়ী, এই ইতিহাসে চোখ ফেলেই আমরা এখন তৃপ্তি পাই। ওই আটটাকে কীভাবে নয় করা যায়, সেই পরিকল্পনা আমাদের নেই। তা যদি থাকত, তাহলে ৩৬ বছর ধরে সোনা তো দূরের ব্যাপার, অলিম্পিকের একটা রুপো বা ব্রোঞ্জের জন্য হা-‌হুতাশ করতে হত না।’‌
কথাবার্তা শেষ করেছিলেন এভাবে, ‘‌মৃত্যুর আগে ভারতের ঘরে অলিম্পিক হকির আরেকটা পদক দেখে যেতে চাই। সেই পদকটা সোনা হলে খুবই ভাল। এখন আমার আরও একটা ইচ্ছা, এতটা যখন চলে এসেছি, জীবনের দৌড়ে সেঞ্চুরিটা করে ফেলা।’‌
তাঁর ইচ্ছাপূরণ হল না। ভারতের ঘরে অলিম্পিক হকির আরেকটা পদক দেখে যেতে পারলেন না। জীবনের দৌড়েও হেরে গেলেন বলবীর সিং। ‘‌সেঞ্চুরি’‌-‌ও ‌আর হল না। 

জন্ম:‌ ১০ অক্টোবর ১৯২৪। 
মৃত্যু:‌ ২৫ মে ২০২০।  

No comments:

Post a Comment

আজ বাঙালির অলিম্পিক অভিযান শুরুর শতবর্ষ পূর্তি, বিস্মৃত পি সি ব্যানার্জি

 ‌ বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (‌বি ও এ)‌ আছে, রাজ্য অ্যাথেলটিক্স সংস্থা আছে। জন্ম শতবর্ষে কোনও অনুষ্ঠান করে প্রথম বাঙালি অলিম্পিয়ানকে শ্রদ...