Tuesday, May 5, 2020

‘‌দস্যুরাজ পান সিং, চম্বল কা শের’‌


ছিলেন দেশের নামী অ্যাথলিট। সেখান থেকেই পারিবারিক সম্পত্তির বিবাদে পান সিং টোমার হয়ে উঠেছিলেন চম্বলের দস্যু



‘‌দস্যুরাজ পান সিং, চম্বল কা শের’‌


নির্মলকুমার সাহা


কয়েকদিন আগে মারা গেলেন অভিনেতা ইরফান খান। তাঁর মৃত্যুর পর আবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে কিছুটা প্রচারের আলোয় চলে এলেন অতীতের এক বিখ্যাত অ্যাথলিট। যিনি পরে চম্বলের দস্যু হয়ে উঠেছিলেন। তিনি যখন ফেরার, তাঁর খোঁজ দিতে পারলে, পুলিশ ঘোষণা করেছিল ১০ হাজার টাকা পুরস্কার। পরে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে তিনি নাকি মারাও গিয়েছিলেন। অ্যাথলিট থেকে চম্বলের ডাকাত হয়ে ওঠা সেই পান সিং টোমারের বায়োপিক মুক্তি পায় ২০১২ সালে। যেখানে পান সিং টোমারের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন সদ্য প্রয়াত ইরফান খান। ওখান থেকেই অভিনেতা হিসেবে তাঁর দুর্দান্ত উত্থান।
অ্যাথলিট পান সিং টোমারকে আমি দেখিনি। তবে তিনি যখন অ্যাথলেটিক্স করতেন সেই সময়ের অনেক অ্যাথলিটের সঙ্গেই বিভিন্ন সময়ে কথা হয়েছে তাঁকে নিয়ে। ১৯৫৮-‌র টোকিও এশিয়ান গেমসে জোড়া সোনা জিতেছিলেন ‘‌উড়ন্ত শিখ’‌ মিলখা সিং। সেই এশিয়াডেই ৩০০০ মিটার স্টিপলচেজে অংশ নিয়েছিলেন পান সিং টোমার। তার আগেই খুব কাছ থেকে পান সিংকে দেখেছেন মিলখা। দু’‌জনই চাকরি করতেন আর্মিতে। পান সিংয়ের প্রসঙ্গ উঠলেই এখনও মিলখা বলেন, ‘‌শুনেছিলাম পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে ওদের সমস্যা ছিল। অনেক আগেই আর্মির চাকরি ছেড়ে গ্রামে ফিরে যায়। পরে শুনি ডাকাত হয়ে গেছে!‌ যতটা শুনেছি সম্পত্তির ঝামেলাটা এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে পান সিং ডাকাত হয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। সেখান থেকে আর স্বাভাবিক জীবনে ফেরা সম্ভব ছিল না। ফিরতে পারেওনি। আরও পরে তো পুলিশের সঙ্গে লড়াইয়ে মারাও যায়। ব্যাপারটা ভীষণ কষ্টের!‌’
যোগিন্দার সিং সাইনি তখন সবে কোচিং শুরু করেছেন। বয়সে বছর দুয়েকের ছোট পান সিংয়ের সঙ্গে খুব আন্তরিক সম্পর্ক ছিল তাঁর। টোকিও থেকে ঘড়ি এনে তাঁকে উপহার দিয়েছিলেন পান সিং। অনেক বছর আগে একবার হাতের সেই ঘড়ি দেখিয়ে যোগিন্দার সিং সাইনি বলেছিলেন, ‘টোকিও এশিয়ান গেমস থেকে ফিরে এটা আমাকে দিয়েছিল। খুব ভাল অ্যাথলিট ছিল। ছিল খুব আমুদে। কোথা দিয়ে কী হয়ে গেল!‌ একজন জাতীয় অ্যাথলিটের এভাবে ডাকাত হয়ে যাওয়াটা অ্যাথলেটিক্সের জন্য কখনও ভালো বিজ্ঞাপন নয়।’‌
গ্রামের এবড়ো‌থেবড়ো মাঠে ছোটবেলায় বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলো করলেও স্টিপলচেজ সম্পর্কে কোনও ধারণাই ছিল না পান সিংয়ের। মিলিটারির চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর একটি বিতর্কিত ঘটনার মাধ্যমে ওঁর স্টিপলচেজে আসা। রুরকিতে পোস্টিং। একদিন সকালে প্যারেডের সময় ইনস্ট্রাকটরের সঙ্গে তর্ক করেন। শাস্তি হিসেবে একটানা অনেকক্ষণ মাঠে দৌড়তে হয় পান সিংকে। ওঁর সেই দৌড়ের ভঙ্গি খুব পছন্দ হয় মাঠে থাকা সারওয়ান সিংয়ের, যিনি ১৯৫৪ সালে এশিয়ান গেমসে ১১০ মিটার হার্ডলসে সোনা জিতেছিলেন। তিনি আর্মির ওই ইউনিটের অ্যাথলেটিক্স কোচ নারাঞ্জন সিংকে বলেন, ‘‌ছেলেটিকে দেখে মনে হচ্ছে একটু নজর দিলে ভালো অ্যাথলিট হবে। লং ডিসটান্স রান করতে পারবে।’‌
সেটা ১৯৫৫ সাল। তখনই পান সিংকে আর্মির ওই ইউনিটের (‌বি ই জি)‌ অ্যাথলেটিক্স ক্যাম্পে নেওয়ার উপায় ছিল না। আর্মির নিয়মে আটকে যাচ্ছিল। কিন্তু সারওয়ানের অনুরোধে কোচ নারাঞ্জন সিং নিয়মিত পরামর্শ দিতেন পানকে। ট্রেনিংয়ের সূচি তৈরি করে দিতেন। সেই সূচি মেনে একা একাই অনুশীলন করে যেতেন। ১৯৫৬ সালের ৭ নভেম্বর বি ই জি-‌র গ্রুপ ডে অ্যাথলেটিক মিটে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করার পর ডাক পান ক্যাম্পে। সারওয়ান ও কোচের পরামর্শে তখন থেকেই ৩০০০ মিটার স্টিপলচেজ ও ৫০০০ মিটার দৌড় বেছে নেন পান সিং।
গত শতাব্দীর পাঁচ ও ছয়ের দশক মিলিয়ে স্টিপলচেজে ৭ বার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন। ১০ বছর জাতীয় রেকর্ড ছিল ওঁর দখলে। ১৯৫৮ সালে কটকে ন্যাশনাল গেমসে জাতীয় রেকর্ড গড়েছিলেন (‌৯:‌১২.‌৪)‌। দিল্লিতে ১৯৬৪ সালে ওপেন ন্যাশনালে সেই রেকর্ড আরও উন্নত (‌৯:‌০৪.‌০)‌ করে নিয়েছিলেন। টোকিও এশিয়ান গেমসের আগে ইন্দো-‌সিলোন অ্যাথলেটিক্স মিটেও ভারতের হয়ে অংশ নিয়েছেন। আর্মির সুবেদার পান সিং ভালো অ্যাথলিট হওয়ায় ছাড় পেয়েছিলেন, ১৯৬২ সালে চীন-‌ভারত ও ১৯৬৫-‌তে ভারত-‌পাকিস্তান যুদ্ধে অংশ নিতে হয়নি।

স্ত্রী ও পুত্র-‌কন্যাদের সঙ্গে পান সিং টোমার। 



                                                                             পান সিং টোমারের জন্ম চম্বল নদীর লাগোয়া মোরেনা জেলার ছোট গ্রাম ভিদোসায়, ১৯৩২ সালের ১ জানুয়ারি, এক রাজপুত পরিবারে। ভিদোসা গ্রাম ও তার কাছাকাছি অধিকাংশ চাষের জমিই একসময় ছিল পান সিংয়ের বাবা-‌কাকা ও পরিবারের অন্যদের। বিশাল সম্পত্তির দখল নিয়ে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিরোধ, মারামারি শুরু। বিশেষ করে পান সিংয়ের বাবা ঈশ্বরী সিং ও কাকা দয়ারাম সিংয়ের মধ্যে। আর্মির চাকরির জন্য গ্রামের বাইরে থাকলেও ওসব খবর নিয়মিত পেতেন পান সিং। জানতে পারেন অনেক জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারেননি। একসময় ঠিক করেন, আর চাকরি করবেন না। গ্রামে ফিরে যাবেন। ভেবেছিলেন অ্যাথলিট হিসেবে নিজের খ্যাতি প্রশাসনিক মহলে কাজে লাগিয়ে হয়ত বেদখল হয়ে যাওয়া জমি উদ্ধার করতে পারবেন। কিন্তু গ্রামে ফিরে অনেক আলোচনা, বৈঠকের পরও তা পারেননি।‌ তখন গোপনে চম্বলের কিছু ডাকাতের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। হাতে তুলে নেন অস্ত্র। একসময় লড়াইটা গিয়ে দাঁড়ায় দয়ারাম সিংয়ের নাতি বাবু সিং বনাম পান সিং।
১৯৭৭ সালে পান সিং হত্যা করেন বাবু সিং-‌কে। শরিকে শরিকে জমি নিয়ে বিবাদ তখন তুঙ্গে। একরাতে পান সিংয়ের বাড়িতে এসেছিলেন বাবু সিং ও তাঁর দলবল। পান সিংয়ের ৯৫ বছর বয়সী মা তখন একা বাড়িতে। শোনা যায়, তাঁকে মারধর করেছিলেন বাবু সিং। হুমকি দিয়ে বাবু বলেছিলেন, ছেলেকে সামলে রাখতে, তা না হলে ফল অন্যরকম হবে। অনেক রাতে বাড়ি ফিরে মা-‌র কাছ থেকে পান সিং ওই হুমকির কথা শোনেন। মা-‌ও নাকি ছেলেকে বলেছিলেন এর প্রতিশোধ নিতে হবে। পরের দিনই প্রতিশোধ নেন পান সিং। সঙ্গে ছিলেন ভাইপো বলবন্ত সিং। একসময় ওই বাবুর গুন্ডাবাহিনীর হাতে প্রাণ গিয়েছিল পান সিংয়ের দাদা ও বলবন্তের বাবা মাতাদিন সিংয়ের। চাষের জমিতে গিয়ে ওঁরা পেয়ে যান বাবুকে। কোনও কথা বলার সুযোগ না দিয়েই সরাসরি গুলি করেন পান সিং। শোনা যায়, তারপর হত্যা করেন দয়ারাম-‌ঘনিষ্ঠ আরও আধডজন মানুষকে।
পান সিং তারপরই গা ঢাকা দেন। মাঝেমধ্যে তাঁর কার্যকলাপ টের পাওয়া যেত ওই গ্রামে গুলি-‌গোলার আচমকা শব্দে। ধীরে ধীরে একসময় চম্বলের ডাকাতদের একটি গোষ্ঠীর নেতা হয়ে ওঠেন। ‘‌দস্যুরাজ পান সিং, চম্বল কা শের’‌ বলে নিজের পরিচয় দিতে শুরু করেন। তখন আর শুধু নিজেদের পারিবারিক সম্পত্তির জন্য নয়, পান সিংয়ের উপস্থিতি বোঝা যেত বিশাল চম্বল জুড়ে আরও অনেক অপরাধমূক কাজে। পুলিশ ও প্রশাসনের রাতের ঘুম কেড়ে নেন। দীর্ঘদিন ফেরার ছিলেন। অনেক চেষ্টাতেও পুলিশ ধরতে পারছিল না। কেউ খোঁজ দিতে পারলে ১০ হাজার টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করে পুলিশ। অবশেষে পাশের গ্রামের এক বাসিন্দা মোতিরামের কাছ থেকে পান সিংয়ের গতিবিধির খবর পায় পুলিশ। সেই অনুযায়ী ছক তৈরি হয়। পুলিশের সার্কেল ইনস্পেক্টর মহেন্দ্রপ্রতাপ সিং চৌহানের নেতৃত্বে স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের ৫০০ জনের দল পান সিংয়ের ডেরায় হানা দেয়। ১২ ঘণ্টা গুলির লড়াই চলে। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী সেই লড়াইয়ে পান সিং ও তাঁর দলের আরও ১৪ জন নিহত হয়েছিলেন। এটা ১৯৮১ সালের ১ অক্টোবরের ঘটনা।
তখনকার কাগজের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, মৃত্যুর আগে নাকি পান সিং কাতর গলায় বলেছিলেন, ‘‌এখানে কোনও রাজপুত আছে কি, যে আমাকে একটু জল দিতে পারে?‌’‌ ঘটনাচক্রে ওই পুলিশ দলে ছিলেন এক রাজপুত, হাবিলদার ত্রিভুবন সিং। জলের একটি বোতল নিয়ে পান সিংয়ের দিকে এগোচ্ছিলেন তিনি। সেটা দেখে সার্কেল ইনস্পেক্টর মহেন্দ্রপ্রতাপ সিং চৌহান চিৎকার করে ওঠেন, ‘‌ডাকাতের কোনও জাত হয় না, ওকে মরতে দাও।’‌
সেদিন সত্যিই কি পান সিং টোমার মারা গিয়েছিলেন?‌ এই প্রশ্নটা তুলে দিয়েছিলেন এশিয়াডে সোনাজয়ী সেই সারওয়ান সিং, যিনি ‘‌আবিস্কার’‌ করেছিলেন পান সিংকে। আর্থিক অনটনে আম্বালায় তখন ট্যাক্সি চালাতেন সারওয়ান। পুলিশ সরকারিভাবে পান সিংয়ের মৃত্যুর খবর ঘোষণা করার বছর তিনেক পর আম্বালাতে গিয়েছিলাম। পান সিংয়ের প্রসঙ্গ উঠতেই সারওয়ানকে বলেছিলেন, ‘‘‌‌পুলিশের সঙ্গে সেদিনের লড়াইয়ে ওর মারা যাওয়ার খবরটা মনে হয় ঠিক নয়। একদিন আম্বালার বাস স্ট্যান্ডের সামনের রাস্তায় আমি ট্যাক্সি নিয়ে দাঁড়িয়ে, সামনে দিয়ে কয়েকজন সাধু যাচ্ছিল। ওদের মাঝ থেকে একজন ‘‌চাচাজি’‌ বলে আমাকে ডাকে। পান সিং যেভাবে ‘‌চাচাজি’‌ বলে আমাকে ডাকত, একেবারে সেভাবেই। এরপর আর কথা বাড়ায়নি। অন্য একজন সাধু শুধু বলেছিল,ওরা নৈনিতাল যাচ্ছে। গলার আওয়াজ শুনে আমার মনে হয়েছিল ওটা পান সিং।’‌’‌ 
২০১২ সালে পান সিংয়ের বায়োপিক বাজারে আসার পরে আরও একবার ফোনে কথা হয়েছিল সারওয়ান সিংয়ের সঙ্গে। পান সিংকে নিয়ে সিনেমা হওয়ায় তিনি খুব খুশি হয়েছিলেন। পাশাপাশি বলেছিলেন, ‘‌সিনেমার বেশ কিছু ঘটনার সঙ্গে বাস্তবের পান সিংয়ের মিল নেই। মনে হয় আকর্ষণীয় করার জন্য কোথাও কোথাও রদবদল বা অতিরঞ্জিত করতে হয়েছে। তাছাড়া ওর জীবনের অনেক কিছুই সেভাবে কখনও প্রকাশ্যে আসেনি। ওর অ্যাথলেটিক্স জীবনের কাহিনীও তো নানা জায়গায় নানাভাবে লেখা।’‌ এরপর সারওয়ানের সংযোজন, ‘‌আমি নাকি এশিয়ান গেমসের সোনার পদক দারিদ্র‌্যের জন্য বিক্রি করে দিয়েছি। এটাও ঠিক নয়। আমার বাড়িতে এখনও সাজানো আছে ওই সোনার পদক।’‌
পান সিং টোমারকে আমি কখনও দেখিনি। তবে একবার অল্প সময়ের জন্য দেখেছিলাম ওঁর বিধবা স্ত্রী ইন্দিরাকে। হকির জাদুকর ধ্যানচাঁদকে নিয়ে একটি বই লেখার জন্য আটের দশকের শেষ দিকে কয়েকবার ঝাঁসিতে গিয়েছি। ওই রকমই এক সফরে ধ্যানচাঁদ-‌পুত্র অশোককুমার ওখানকার এক তরুণ মুকেশের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন ‘‌এখানে যাঁরা বাবা সম্পর্কে পুরনো দিনের কথা বলতে পারবেন, ও তাঁদের সবার কাছে নিয়ে যাবে।’‌ শুধু ঝাঁসি শহরে নয়, জেলার অনেক জায়গাতেই ওঁর সঙ্গে গিয়েছি। একদিন ঝাঁসি জেলার বাবিনায় গিয়েছি। এক বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক ভদ্রমহিলাকে দেখিয়ে মুকেশ বলেন, ‘‌পান সিংয়ের নাম শুনেছেন?‌ উনি তাঁর স্ত্রী ইন্দিরা। পান সিং নিহত হওয়ার পর ভিদোসা ছেড়ে ছেলেমেয়েদের নিয়ে উনি এখন এখানেই থাকেন।’‌ এগিয়ে গিয়ে পান সিং টোমার সম্পর্কে কিছু কথা শোনার আগ্রহ প্রকাশ করায় তিনি বললেন, ‘‌এখন মন ভালো নেই। পরে একদিন আসবেন অনেক কথা বলব।’‌ মন ভাল না থাকার কারণটা জানালেন মুকেশ। কয়েকদিন আগেই পান সিং-‌ইন্দিরার বড় ছেলে হনুমন্ত দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন। পরে আর ঝাঁসি যাওয়া হয়ে ওঠেনি। ওঁর কাছ থেকে পান সিং টোমারের গল্পও আর শোনা হয়নি।



No comments:

Post a Comment

আজ বাঙালির অলিম্পিক অভিযান শুরুর শতবর্ষ পূর্তি, বিস্মৃত পি সি ব্যানার্জি

 ‌ বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (‌বি ও এ)‌ আছে, রাজ্য অ্যাথেলটিক্স সংস্থা আছে। জন্ম শতবর্ষে কোনও অনুষ্ঠান করে প্রথম বাঙালি অলিম্পিয়ানকে শ্রদ...