Tuesday, June 16, 2020

পেটের টানে, রুটির খোঁজে শৈশবে ঝাড়ুদার!‌ যৌবনে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন




পেট্রোসিয়ান বিয়েও করেছিলেন দাবা বোর্ডে বাজি ধরে। পেট্রোসিয়ান ও এফিম গেলার, দু’‌জনের সঙ্গেই মন দেওয়া-‌নেওয়া করে চলছিলেন রোনা আভিনেজার। রোনা জানিয়ে দিয়েছিলেন, ইন্টার জোনালে পেট্রোসিয়ান ও গেলারের মধ্যে যিনি ভাল ফল করবেন, তাঁকেই বিয়ে করবেন। গেলারের চেয়ে আধ পয়েন্টে বেশি করেছিলেন পেট্রোসিয়ান। রোনা বিয়ে করেছিলেন তাঁকেই। 


পেটের টানে, রুটির
খোঁজে শৈশবে ঝাড়ুদার!‌
যৌবনে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন


নির্মলকুমার সাহা


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বাবা-‌মা দুজনই মারা যান। সেই শৈশবেই পেটের টানে, রুটির খোঁজে রোজগারের পথ খুঁজতে হয়েছিল টাইগ্রান পেট্রোসিয়ানকে। রাস্তা ঝাঁট দেওয়ার কাজ। ১৯৬৯ সালে টাইম ম্যাগাজিনে একটি সাক্ষাৎকারে পেট্রোসিয়ান বলেছিলেন, ‘‌রাস্তা ঝাঁট দেওয়ার কাজটা আমি শুরু করেছিলাম শীতকালের মাঝামাঝি। করুণ অভিজ্ঞতা!‌ তখন রাস্তা পরিষ্কারের কোনও মেশিন ছিল না। হাত আর ঝাঁটাই সম্বল। লোকজন বেরনোর আগে রাস্তা যখন ফাঁকা থাকত, সেই ভোরে প্রবল শীতের মধ্যে ওই কাজ করতে হত। বড়রা কয়েকজন অবশ্য আমাকে সাহায্য করতেন। কখনও কখনও লোকজন বেরিয়ে পড়লে ভীষণ অস্বস্তিতে পড়ে যেতাম। তখন ওই কাজটাকে আমি ঘৃণা করতাম। তবু করতে হত!‌ পেটের টানে। একসময় খুব অসুস্থ হয়ে পড়ি। এক বছর স্কুলেও যেতে পারিনি। আমার এক পিসি ছিলেন। ওই সময়ে তিনি আমাকে খুব সাহায্য করেছিলেন। আমি যখন অসুস্থ হয়ে রাস্তা ঝাঁট দেওয়ার কাজ করতে পারছিলাম না, ওই পিসিই আমাকে রুটি খেতে দিতেন। প্রচণ্ড ঠান্ডায় আমার কানের বেশ ক্ষতি হয়ে গিয়েছিল। পরে অনেক চিকিৎসায়ও সেই রোগ থেকে মুক্ত হতে পারিনি। সারাজীবন কানে যন্ত্র লাগিয়ে কাটাতে হয়েছে।’‌
টাইগ্রান পেট্রোসিয়ানের জন্ম ১৯২৯ সালের ১৭ জুন, জর্জিয়ার টিপলিসের মুলকি গ্রামে। জর্জিয়া তখন ছিল সোবিয়েত ইউনিয়নের অঙ্গ। পরে মস্কোতেই পাকাপাকি থাকতেন। টাইগ্রানের বাবা ভারতানোভিচ ছিলেন নিরক্ষর। কিন্তু তিনি চাইতেন ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া শিখে বড় হোক। তাই খেলাধুলো করতে গিয়ে লেখাপড়ার ক্ষতি তিনি কিছুতেই মেনে নিতে পারতেন না। ফলে অন্য বড় বড় দাবা খেলোয়াড়দের তুলনায় টাইগ্রানকে দাবা খেলা শিখতে হয়েছে একটু দেরিতেই। ৮-‌৯ বছর বয়সে। তাও সেটা শুধু শিখে রাখাই। নিয়মিত দাবা নিয়ে চর্চার কোনও সুযোগ ছিল না। সেই সুযোগ আসে আরও দেরিতে, ১২ বছর বয়সে, মা-‌বাবার মৃত্যুর পর।
পুরো নাম টাইগ্রান ভারতানোভিচ পেট্রোসিয়ান। দাবা মহলে পরিচিত ছিলেন ‘‌আয়রন টাইগ্রান’‌ নামে। তাঁর রক্ষণ এতই শক্তিশালী ছিল যে, তাঁকে হারানো ছিল খুবই কঠিন কাজ। তাই পেট্রোসিয়ানকে ওই নামে ডাকা হত।  ‌
পেট্রোসিয়ান ছিলেন নিমজোভিচের (Aron Nimzowitsch‌‌‌)‌ ভক্ত। তাঁর লেখা ‘‌Chess Praxis‌‌’‌ বইটি ছিল পেট্রোসিয়ানের কাছে বাইবেলের মতো। পেট্রোসিয়ান লিখেছেন, ‘‌রাতে যখন ঘুমোতে যেতাম, বালিশের তলায় থাকত ওই বই। বাচ্চারা যেমন প্রিয় গল্পের বই রেখে দেয়।’‌ আরও একটি বই পেট্রোসিয়ানের খুব প্রিয় ছিল। রুদলফ স্পিলম্যানের (Rudolf  Spielmann‌)‌ ‘‌দ্য আর্ট অফ স্যাক্রিফাইস ইন চেস’‌ (The Art of Sacrifice in Chess‌)‌।
প্রথমে নিজে নিজেই বই পড়ে দাবা খেলা। ১২ বছর বয়সে ভর্তি হন টিফলিসের প্যালেস অফ পাইওনিয়ার্সে। আর্চিল এব্রালিজের (Archil Ebralidze) কাছে নিজেকে দাবা খেলোয়াড় হিসেবে গড়তে শুরু করেন। সেখানে একবছর ট্রেনিং নেওয়ার পরই পেট্রোসিয়ান প্রদর্শনী সিমিউলটেনিয়াস দাবায় হারিয়ে দেন সোবিয়েত ইউনিয়নের গ্র‌্যান্ড মাস্টার সালো ফ্লোহরকে (Salo Flohr)। ১৯৪৬ সালে জর্জিয়ান চেস চ্যাম্পিয়নশিপে গ্র‌্যান্ড মাস্টার পল কেরেসের সঙ্গে ড্র করেন। তার পরই টিফলিস ছেড়ে চলে যান ইরেভানে। সেখানে আর্মেনিয়ান চেস চ্যাম্পিয়নশিপের খেতাব জেতেন। সোবিয়েত ইউনিয়নের জুনিয়র চ্যাম্পিয়ন হন। তখনই পেট্রোসিয়ানের মনে হয়, আরও উন্নতির জন্য পাকাপাকি মস্কোয় চলে যাওয়া উচিত। ১৯৪৯ সালে ২০ বছর বয়সে পাকাপাকি চলে যান মস্কোয়। ১৯৫১ সালে সোবিয়েত ইউনিয়ন চ্যাম্পিয়নশিপে দ্বিতীয় স্থান পান। ওই চ্যাম্পিয়নশিপেই প্রথম মুখোমুখি হন বিশ্বচ্যাম্পিন মিখাইল বটভিনিকের। সাদা ঘুঁটি নিয়ে খেলতে বসে প্রথমেই কিছুটা সমস্যায় পড়ে যান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ লড়াই চালিয়ে গেমমটা ড্র করেন। সোবিয়েত ইউনিয়নের দাবায় তখন তারকার মেলা। সেই সময় ৪ বার সোবিয়েত ইউনিয়ন চ্যাম্পিয়ন পন পেট্রোসিয়ান। ১৯৫৯, ১৯৬১, ১৯৬৯ ও ১৯৭৫ সালে।
দাবার নবম বিশ্বচ্যাম্পিয়ন টাইগ্রান পেট্রোসিয়ান। প্রথম তিনি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হন ১৯৬৩ সালে। তিনি সেবার আগের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন মিখাইল বটভিনিকের চ্যালেঞ্জার ছিলেন। এই চ্যালেঞ্জার হওয়া নিয়ে অবশ্য বিতর্কের ঝড় তুলেছিলেন ববি ফিশার। ক্যান্ডিডেটস টুর্নামেন্টে ৮ প্রতিযোগী ছিলেন সোবিয়েত ইউনিয়নের মিখাইল তাল, ভিক্টর করশনয়, টাইগ্রান পেট্রোসিয়ান, এফিম গেলার, পল কেরেস, আমেরিকার ববি ফিশার, পল বেঙ্কো, চেকোস্লোভাকিয়ার মিরোস্লাভ ফিলিপ। খেলা হয়েছিল Quadruple Round-robin ‌‌‌পদ্ধতিতে। অর্থাৎ প্রত্যেকে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ৪ বার করে খেলেছিলেন। ১৭.‌৫ পয়েন্ট করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন পেট্রোসিয়ান। ১৭ পয়েন্টে ছিলেন গেলার ও কেরেস। আমেরিকার ববি ফিশার করেছিলেন ১৪ পয়েন্ট। ফিশারের অভিযোগ ছিল, সোবিয়েত ইউনিয়নের খেলোয়াড়রা গড়াপেটা করেছেন। ফিশার যাতে চ্যাম্পিয়ন না হতে পারেন, সে জন্য নিজেদের মধ্যে অসংখ্য গড়াপেটা গেম খেলেছেন। উদাহরণ হিসেবে ফিশার দেখিয়েছিলেন পেট্রোসিয়ান, গেলার ও কেরেস নিজেদের মধ্যে যে ১২টি গেম খেলেছিলেন তার সবই ড্র, এবং তা খুব অল্প চালেই। তা যাই হোক, খেতাবি লড়াই ছিল দীর্ঘ ২৪ গেমের। প্রথম গেমে সাদা ঘুঁটি নিয়ে হেরে শুরু করলেও শেষ হাসি হেসেছিলেন পেট্রোসিয়ান। ২৪ গেমের লড়াই শেষ করে দিয়েছিলেন ২২ গেমেই। পেট্রোসিয়ান জিতেছিলেন ১২.‌৫-‌৯.‌৫ পয়েন্টে। পেট্রোসিয়ানের জয় ৫। ড্র ১৫। বটভিনিক জিতেছিলেন ২টিতে। মস্কোতে ওই খেতাবি লড়াই চলেছিল প্রায় ২ মাস। ২৩ মার্চ থেকে ২০ মে। বটভিনিক পরে জানিয়েছিলেন, ‘‌ওই দীর্ঘ লড়াইয়ের জন্য শুধু দাবা বোর্ডের প্রস্তুতিতে নয়, আমি মন দিয়েছিলাম শারীরিক সক্ষমতা ধরে রাখার দিকেও। প্রতিদিন নিয়মিত কয়েক ঘণ্টা স্কি করতাম।’‌
৩ বছর পর খেতাব রক্ষার লড়াইয়ে নামতে হয়েছিল পেট্রোসিয়ানকে। চ্যালেঞ্জার ছিলেন বরিস স্প্যাসকি। যিনি ক্যান্ডিডেটস দাবার ফাইনালে মিখাইল তালকে হারিয়ে চ্যালেঞ্জার হয়েছিলেন। ১৯৬৬ সালে মস্কোতে বরিস স্প্যাসকিকে হারিয়ে বিশ্ব খেতাব নিজের দখলেই রেখে দিয়েছিলেন পেট্রোসিয়ান। তবে ওই খেতাব রক্ষা সহজে করতে পারেননি। খেলতে হয়েছিল পুরো ২৪ গেমই। শেষ গেম ড্র করে ১২.‌৫-‌১১.‌৫ পয়েন্টে জিতেছিলেন পেট্রোসিয়ান। ৯ এপ্রিল থেকে ৯ জুন, সেই দীর্ঘ লড়াইয়ে ১৭ টি গেমই ড্র। পেট্রোসিয়ান জিতেছিলেন ৪ টিতে। স্প্যাসকির জয় ৩।
ফের ৩ বছর পর ১৯৬৯-‌এ সেই বরিস স্প্যাসকিরই মুখোমুখি। এবারও খেলা সেই মস্কোতেই। ১৪ এপ্রিল থেকে ১৭ জুন। এবার আর পারেননি। স্প্যাসকির কাছে ১২.‌৫-‌১০.‌৫ পয়েন্টে হেরে বিশ্ব দাবার সিংহাসন হারাতে হয়েছিল পেট্রোসিয়ানকে। কিন্তু তারপরও খেতাব ফিরে পাওয়ার লড়াইটা চালিয়ে গিয়েছেন ১৯৮০ সাল পর্যন্ত। মোট ৮ বার তিনি ক্যান্ডিডেটস টুর্নামেন্টে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার আগে ৪ বার ১৯৫৩, ১৯৫৬, ১৯৫৯ ও ১৯৬২ সালে। বিশ্ব খেতাব হাতছাড়া হওয়ার পর আরও ৪ বার ১৯৭১, ১৯৭৪, ১৯৭৭ ও ১৯৮০ সালে।
দাবা অলিম্পিয়াডেও দুর্দান্ত পারফরমেন্স পেট্রোসিয়ানের। তিনি মোট ১০ টি দাবা অলিম্পিয়াডে সোবিয়েত ইউনিয়নের হয়ে খেলেছেন। ১৯৫৮ থেকে ১৯৭৪ ও ১৯৭৮। ওই ১০ টি দাবা অলিম্পিয়াডের মধ্যে ৯ টিতেই সোনা জিতেছিল সোবিয়েত ইউনিয়ন। শেষবার ১৯৭৮-‌এ রুপো। পেট্রোসিয়ান ৬ বার জিতেছিলেন বোর্ডের সোনা। ওই ১০ টি দাবা অলিম্পিয়াডে তাঁকে খেলতে হয়েছিল ১২৯ টি গেম। যার মধ্যে জিতেছিলেন ৭৮ টিতে। ড্র ৫০ টি। হেরেছিলেন মাত্র একটিতে।
পেট্রোসিয়ান বিয়েও করেছিলেন দাবা বোর্ডে বাজি ধরে। পেট্রোসিয়ান ও এফিম গেলার, দু’‌জনের সঙ্গেই মন দেওয়া-‌নেওয়া করে চলছিলেন রোনা আভিনেজার (Rona Avinezer‌)‌। ‌তিনি ছিলেন ইংরেজির শিক্ষিকা। পাশাপাশি করতেন দোভাষীর কাজ। কাকে বিয়ে করবেন রোনা ঠিক করে উঠতে পারছিলেন না। ১৯৫২ সালে পেট্রোসিয়ান ও গেলার, দু’‌জনেই সুইডেনে ইন্টার জোনাল খেলতে গিয়েছিলেন। সেখানে রোনাও হাজির। রোনা ওখানে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন, ইন্টার জোনালে পেট্রোসিয়ান ও গেলারের মধ্যে যিনি ভাল ফল করবেন, তাঁকেই বিয়ে করবেন। ওখানে গেলারের চেয়ে আধ পয়েন্টে বেশি করেছিলেন পেট্রোসিয়ান। ফলে রোনা বিয়ে করেছিলেন তাঁকেই।
জীবনের শেষ কয়েক মাস গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। তার মধ্যেও দাবার সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন। ১৯৮৪ সালে দু’‌বার তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন গ্যারি কাসপারভ। কথা হয়েছিল আনাতলি কারপভের বিরুদ্ধে বিশ্ব দাবার খেতাবি লড়াইয়ে কাসপারভের সেকেন্ড হিসেবে কাজ করবেন পেট্রোসিয়ান। উল্লেখ্য, ১৯৬৩ সালে পেট্রোসিয়ান যখন প্রথম বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য বটভিনিকের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছেন, তার মাঝেই জন্ম (‌১৩ এপ্রিল)‌ কাসপারভের। তা যাই হোক, কাসপারভের সেকেন্ড হিসেবে কাজ করার সুযোগ অবশ্য আর হয়নি পেট্রোসিয়ানের। ১৯৮৪ সালের ১৩ আগস্ট মারা যান টাইগ্রান পেট্রোসিয়ান, পাকস্থলীর ক্যান্সারে।
এখন আর্মেনিয়ায় আরও একজন বিখ্যাত দাবা খেলোয়াড় রয়েছেন ওই নামে, টাইগ্রান এল পেট্রোসিয়ান। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন টাইগ্রান ভি পেট্রোসিয়ানের মৃত্যুর ১ মাস ৪ দিন পর (‌১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৪)‌ যাঁর জন্ম। এই জুনিয়র পেট্রোসিয়ানের বাবা ছিলেন দাবাপ্রেমী। টাইগ্রান পেট্রোসিয়ানের ভক্ত। টাইগ্রান পেট্রোসিয়ান যখন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হন, তখনই তিনি ঠিক করে রেখেছিলেন তাঁর পুত্রসন্তান হলে নাম রাখবেন টাইগ্রান। তাই ওই নাম রেখেছিলেন।
আরও নানাভাবে আর্মেনিয়ায় ধরে রাখা হয়েছে পেট্রোসিয়ানের স্মৃতি। তিনি মারা যাওয়ার তিন বছর পর, ১৯৮৭ সালে বসানো হয় পেট্রোসিয়ানের মূর্তি। যা উন্মোচন করেছিলেন গ্যারি কাসপারভ। ২০০৬ সালের ৭ জুলাই ইরেভানের দাবতাসেন জেলায় একটি রাস্তা পেট্রোসিয়ানের নামে করা হয়। সেই রাস্তার ধারে তৈরি হয় একটি স্মৃতি স্মারকও। মুলকিতে তাঁর জন্মভিটেয়ও রয়েছে স্মৃতিস্মারক। আর পরের প্রজন্মের দাবা খেলোয়াড়দের হাতে হাতে স্মৃতি হিসেবে রয়েছে পেট্রোসিয়ান ও তাঁর খেলা নিয়ে লেখা একগুচ্ছ বই।
আজ জন্মদিনে দাবার নবম বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে শ্রদ্ধা, প্রণাম।


জন্ম:‌ ১৭ জুন, ১৯২৯।
মৃত্যু:‌ ১৩ আগস্ট, ১৯৮৪। ‌‌

No comments:

Post a Comment

আজ বাঙালির অলিম্পিক অভিযান শুরুর শতবর্ষ পূর্তি, বিস্মৃত পি সি ব্যানার্জি

 ‌ বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (‌বি ও এ)‌ আছে, রাজ্য অ্যাথেলটিক্স সংস্থা আছে। জন্ম শতবর্ষে কোনও অনুষ্ঠান করে প্রথম বাঙালি অলিম্পিয়ানকে শ্রদ...